মানব সম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই

নোটিশ বোর্ড >> সকল নোটিশ

টাইটেল	বিস্তারিত
ভর্তি কার্যক্রম চলমান:	দেশের বর্তমান পরিস্তিতির মধ্যে আমাদের ভর্তি কার্যক্রম চালু রয়েছে। ভর্তি জন্য ছুটির দিন ব্যতিত সকাল ১০:৩০ থেকে ৮:৩০ পযর্ন্ত সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অফিস: 01313-197571 - তারিখ: 2024-08-21
রেজিস্ট্রেশন নোটিশ :	জাতীয় দক্ষতামান বেসিক (৩৬০ ঘন্টা) শিক্ষাক্রমের জুলাই-সেপ্টেম্বর, ৩ মাস মেয়াদী/ অক্টোবর-ডিসেম্বর, ৩ মাস মেয়াদী / জুলাই-ডিসেম্বর, ৬ মাস মেয়াদী এর ২০২৪ সেশনের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন চলতেছে । - তারিখ: 2024-08-20
সল্পমেয়াদী কোর্স ও অন্যান্য নোটিশ : লক্ষ্য রাখুন_	জাতীয় দক্ষতামান বেসিক (৩৬০ ঘন্টা) শিক্ষাক্রমের জুলাই-সেপ্টেম্বর, ৩ মাস মেয়াদী/ অক্টোবর-ডিসেম্বর, ৩ মাস মেয়াদী / জুলাই-ডিসেম্বর, ৬ মাস মেয়াদী এর ২০২৪ সেশনের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার খুব ‍শিঘ্রই জানানো হবে । - তারিখ: 2024-08-20

‘‘পড় তোমার প্রভুর নামে’’ পড়াশোনা তথা শিক্ষা মানবজাতির জন্য স্রষ্টা প্রদত্ত অপূর্ব উপহার। শিক্ষা মানুষ জাতির মৌলিক অধিকার ,ও শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। একটি জাতির জন্য শিক্ষা দ্বারাই পরিবার, সমাজ, দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে। চলমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশপ্রেমিক, নৈতিকতা ও আধুনিক তথা বৈশ্বিক নাগরিক গড়ে তোলা বর্তমান সরকারের শিক্ষার মান উন্নয়নের রূপরেখা । সে লক্ষ্যেই আমরা, “মহানগর কম্পিউটার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” শিক্ষা পরিবার কাজ করে যাচ্ছি। ২টি স্লোগানকে আমি হৃদয়ে ধারন করি (ক) কারিগরি শিক্ষা নিন, বদলে যাবে আপনার দিন। (খ) কারিগরি শিক্ষা নিলে ,বিশ্ব জুড়ে কর্ম মিলে। বর্তমানে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কারিগরি শিক্ষার বিকল্প কিছুই হতে পারে না। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে খুব কম সংখ্যক তরুণ কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। আমরা যদি শিল্পোন্নত দেশগুলোর (জাপান, চীন, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া) দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব যে তাদের উন্নয়ন হয়েছে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার মাধ্যমে এবং দেশের যুবসমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে পারলে দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে, আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম হবে। তাই এদেশের জনগণের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আপনার সন্তানদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলুন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করুন। আমাদের প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী পরিচালনা পরিষদ ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা কাঙ্খিত সাফল্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস । যাদের আন্তরিকতায় ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠানটি , তাদের সকলের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

এই কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ৩৬০ ঘন্টা বেসিক ট্রেড কোর্সের সিলাবাসের আলোকে সাজানো হয়েছে। এখানে ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধান অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন, ব্যবহারিক পরীক্ষার ধরন এবং ভাইভা পরীক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পরীক্ষার মানবন্টন ধারাবাহিক মূল্যায়ন ২৪০ নম্বর চূড়ান্ত মূল্যায়ন ২৬০ নম্বর সর্বমোট ৫০০ নম্বর ধাবারাহিক মূল্যায়ন (২৪০ নম্বর): প্রতিটি শর্টকোর্স পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মুল্যায়নের নম্বর দিবেন। ধারাবাহিক মল্যায়নের নম্বর শিক্ষার্থীর ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থিতি, আচরণ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। সকল পরীক্ষায় পাস ৬০% । পরীক্ষার দুটি পর্ব রয়েছে। যথা ক) তাত্ত্বিক ধারাবাহিক (TC) : ৪০ নম্বর (পরীক্ষার পাশ নম্বর ৬০% অর্থাৎ ২৪ নম্বর)। খ) ব্যবহারিক ধারাবাহিক (PC) : ২০০ নম্বর (পরীক্ষার পাশ নম্বর ৬০% অর্থাৎ ১২০ নম্বর)। চুড়ান্ত মুল্যায়ন (২৬০ নম্বর) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বাের্ড ক্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে চুড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। শিক্ষা বাের্ড কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সারা দেশে একযোগে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বর্ণিত পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় দুটি পর্ব বয়েছে। যথা- ক) তাত্ত্বিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন (TF): ৬০ নম্বর (পরীক্ষার পাশ নম্বর ৬০% অর্থাৎ ৩৬ নম্বর)। তাত্তিক পরীক্ষার সময় ১ ঘন্টা। শিক্ষা বাের্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার উত্তরপত্র বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষকবৃন্দ মূল্যায়ন করেন। খ) ব্যবহারিক চুড়ান্ত মুল্যায়ন (PF) : ২০০ নম্বর (পরীক্ষার পাশ নমবর ৬০% অর্থাৎ ১২০ নম্বর)। তাত্তিক পরীক্ষার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভ্যন্তরীণ পরীক্ষক ও বহিরাগত পরীক্ষক ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন।

*কারিগরি শিক্ষা বদলে দেবে জীবন__ কারিগরি শিক্ষা : ___ হাতে কলমে বাস্তবধর্মী শিক্ষাই হল কারিগরি শিক্ষা। অর্থাৎ যে শিক্ষা কোন একটা বিষয়ে দক্ষ করে তুলে। প্রযুক্তির যুগ। তাত্ত্বিক জ্ঞান থেকে হাতে কলমে প্রশিক্ষিত জ্ঞান বেশি সমাদৃত। তাই কারিগরি শিক্ষার গুরুত্বও বেশি। ভর্তির যোগ্যতা :___ জেএসসি/জেডিসি, এসএসসি / দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় পাসের পর ভর্তি হতে হয়। এবং পাসপোর্ট সাইজ এর ২ কপি ছবি , জাতীয় আইডি কার্ড/ জম্ম সনদ ।

ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ? সকলের জন্য 02 সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি সম্মুখে থকে ছবি তুলতে হবে । চশমা পরিহিত ছবি গ্রহনযোগ্য হবে না ।হিজাব পরলে অব্যশই কান পযন্ত দৃশ্যমান হতে হবে । পোশাক সাদা হলে ব্যাক গ্রাউন্ড রঙ্গিন হতে হবে । পোশাক রঙ্গিন হলে ব্যাক গ্রাউন্ড সাদা হতে হবে । ছবির সাইজ হবে 120*150 পিক্সেল, সর্বোচ্চ 50 কিলোবাইট (KB), ফাইল ফরমেট হবে JPG । সংশ্লিষ্ট শিক্ষাক্রমের মূল রেজিস্ট্রশন কার্ড , নম্বরপ্রত্র অথবা মূল সনদপ্রত্র , জম্ম সনদ অথবা জাতীয় পরচিয় পত্র ইংরেজী অথবা উভয় এর ফটোকপি । ***জম্ম সাল 1997 এর পরে--এসএসসি পর্যায় জেএসসি/ জেডিসি পাস অথবা মূল রেজিস্ট্রশন কার্ড, পরিক্ষা পাশের মূল নম্বরপ্রত্র অথবা মূল সনদপ্রত্র ।

কারিগরি শিক্ষা বদলে দেবে জীবন । আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার মধ্যে কারিগরি শিক্ষা হল অন্যতম সময়োপযোগী শিক্ষা। বর্তমানে সব জায়গায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা। সুতরাং সহজেই এ বহুমুখী ক্যারিয়ারে প্রতিভার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মূল স্লোগান – “কারিগরি শিক্ষা নিলে বিশ্ব জুড়ে কর্ম মিলে।” কারিগরি শিক্ষা নিলে কখনই বেকার থাকতে হয় না। কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করলে নিজের পাশাপাশি আরো লোকজনের কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়। এই বিষয়ে পড়লে চাকরি খুঁজতে হবে না।